বি.এন.পি এর প্রতিষ্ঠাতা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

সাবেক ডেপুটি স্পিকার জনাব আকতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নু ভাইয়ের ইন্তেকালে আমরা শোকাহত (নওগাঁ জেলা বিএনপি পরিবার)

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ১০ম ডেপুটি স্পিকার জনাব মোঃ আখতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নু। গত ১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়। 'নওগাঁ জেলা বিএনপি পরিবার' তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছে। এবং তার এই অপূরনীয় অভাবকেই শক্তি হিসাবে নিয়ে জাতীয়তাবাদী দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর।

জাতীয়তাবাদী চেতনা উজ্জীবিত ফজলে হুদা বাবুল ভাই

মহাদেবপুর প্রেস ক্লাবে ল্যাপটপ প্রদান অনুষ্ঠানে,এক আনন্দঘোন পরিবেশে ফজলে হুদা আকন্দ বাবুল ভাই,রুমী চৌধুরী,রেজাউন নবী সান্ডু ভাই সহ স্থানীয় জনপ্রতিনীধিগন।

এখন সময় শোকের নয়, সময় এখন ঘুরে দাড়াবার




"আমরা শোকাহত এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি"
( নওগাঁ জেলা বিএনপি পরিবার)
মরহুম আকতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নু ভাইয়ের ইন্তেকালে, নওগাঁ জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র নজমুল হক সনি ভাইয়ের কথা দিয়েই শুরু করছি, " আখতার হামিদ সিদ্দিকী (নান্নু) আমাদের অবিভাবক ছিলেন, তিনি সবসময় আমাদের সৎ পরামর্শ দিয়ে রাজনীতির পথ দেখিয়েছেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আর আমি মনে করি তার মৃত্যুতে শুধু নওগাঁবাসী নয় বাংলাদেশের গোটা উত্তরবঙ্গ একজন কৃতি সন্তান হারিয়েছে "।
দেশের এমন ক্রান্তীলগ্নে আকতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নু ভাইয়ের  মতো বিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে এমন অকাল প্রয়ান না চাইলে ও আমাদের মেনে নিতে হয়েছে, প্রকৃতির কাছে মানুষ সত্যি বড় অসহায়।
 তিনি শুধু বদলগাছী , মহাদেবপুর  বা উত্তরবঙ্গের নয় বরং সারা বাংলাদেশের নেতা ছিলেন, তার বিজ্ঞতা এবং অভিজ্ঞতার প্রভাব ছিলো বাংলদেশ রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রতিটা স্তরে। তিনি ছিলে শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া এক মহৎ প্রান মানুষ। তিনি পৃথিবীতে না থাকলেও তার কর্মমুখর এবং বৈচিত্রময় রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস আমাদের সামনে আছে, যদি ও তা বিক্ষিপ্ত, তা যদি সংগ্রহ পরবর্তী একত্রিকরন করে স্ট্যাডি করা যায় তবে বর্তমান ক্রান্তীকালিন সময়ে এবং আগামীতে ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা এবং সময় উপযোগী কর্ম পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহন অনেক সহজ আর পারফেক্ট হবে। কারন তিনি ছাত্র জীবন হতে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত একজন সফল আর অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
আকতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নু ভাইয়ের মতো এমন দেশ, দল, এবং এলাকা অন্তপ্রান মানুষ পুরো উত্তরবঙ্গে সত্যি হাতে গোনা। তিনি সার্বজনীন ভাবে ছিলেন বদলগাছী, মহাদেবপুর বাসীর জন্য একান্ত কল্যানকামী।
তার ইন্তেকালের কিছু পূর্ব হতেই তার  অসুস্থতা এবং বার্ধ্যকের সুযোগ নিয়ে বিরোধীদলীয় প্রভাবে বদলগাছী মহাদেবপুর বিএনপি পরিবারে অন্তকন্দল এবং ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। যা সত্যি দুঃখজনক। এ ভাঙ্গন এখন চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে। আর এই ভাঙ্গনের সুযোগেই বিএনপি এর ঘাটি বলে খ্যাত বদলগাছী-মহাদেবপুরে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিরোধীদল আবারো ক্ষমতায় আসবে, এবং নির্বিচারে যত রকমের অন্যায়-অত্যাচার, দূর্নীতি, বিরোধীদলীর নেতা কর্মীদের হয়রানী, নিপিরন, গুম সহ আগামী প্রজন্মকে নকল করে পাশ বা না পড়েই পাশ বা অসার প্রজন্ম এবং মাদকের বিষাক্ত ছোবলে বিনষ্ট করার ধ্বংসাত্বক কার্যক্রম আরো ভয়াবহ আকারে শুরু করবে  ।
যা হবে শহীদ জীয়ার আর্দশে গড়া এ দেশ এবং দলের জন্য স্বইচ্ছায় আত্মহননের মতো এক বিরাট বিপর্যয়। যার শেষ পরিনতির কথা সত্যিই আর ভাবা সম্ভব হচ্ছে না।
যার ভিতরে নুন্নতম দেশপ্রেম , দল প্রতি ভালবাসা, এলাকার প্রতি ভালবাসা বা নিজ নিজ পরিবারের প্রতি ভালবাসা আছে সে কখনোই দলীয় অন্তকোন্দলকে প্রশ্রয় দিতে পারে না। আওয়ামী প্রভাবে, পরামর্শে নিজের পায়ে কুড়াল মারতে পারে না। যদি কোন নেতা বা কর্মী  দলীয় মান উন্নয়নে, কর্মীদের মান উন্নয়নে ভূমিকা না রেখে অন্তদলীয় কোন্দলকে প্রশ্রয় দেয় অথবা তা নিরশনে ভূমিকা না রাখে তবে বুঝতে হবে সে দলের ভিতরে অবস্থান করে বিরোধীদল আমলীগকে সহযোগীতা করছে। যা এক কথায় বিশ্বাসঘাতকতা ।
এটাতো সর্বজন স্বীকৃত যে, দেশ ও দলের নেতা কর্মীরা ফেরেস্তা নয়, মানুষ। যাদের ভুল হয়, ভ্রান্তি হয়, আর তা যখন বুঝতে পারে, তখন তা শুধরেও নেয়। সে হিসাবে অন্তদলীয় কোন্দল দেশ - জাতি এবং দলের জন্য এক বিরাট ভুল পদক্ষেপ। যা শুধারে নিয়ে একত্র হয়ে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখাই হলো সত্যিকারের মানুষের কাজ, দেশপ্রেমিক নাগরিকের কাজ, একজন  আদর্শ কর্মীর কাজ , একজন জনপ্রিয় নেতার কাজ।
আর তা হাত কলমে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমান।
তিনি তার কর্মময় জীবনে একজন নেতা হিসাবে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন একজন নেতার চরিত্র, আচরন এবং পরিকল্পনা- কর্মপদ্ধতি এবং তা বাস্তবায়নে কি ধরনের  ভূমিকা রাখতে হয়, ঠিক তেমনি দেখিয়ে দিয়ে গেছেন একজন কর্মী হিসাবে মাঠ পর্যায়ে সাধারন মানুষের সাথে মিশে কিভাবে কাজ করতে হয়,

দেখিয়েছেন দলে কর্মীর কাজের ধরন, নেতার আনুগত্য ও নিয়োমিত মান উন্নয়নে একজন দক্ষ নেতা একজন মহৎ প্রান দেশ প্রেমিক মানুষ হওয়ার পথ। দিয়ে গেছেন দলের সংবিধান, কর্মপদ্ধতি, মূলনীতি সহ বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পন্ন এবং বিশ্বের দরবারে এক উন্নত দেশ হিসাবে উপস্থাপন করার  বৈচিত্রময়, বহুমূখী এবং কর্মবহুল জীবন ইতিহাস।
কোন কাজের উদ্বোধনের জন্য বা ছবি তোলার জন্য যে তিনি কোদাল খোন্তা হাতে নিয়েছেন তা কিন্তু নয়, বরং সবদিক সামলে একজন সাধারন কর্মীর মত, একজন শ্রমীকের মত, একজন দেশপ্রেমিক মানুষের মত সময় দিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন।
দলের স্বঘোষিত নেতা হওয়ার আগে সকল নেতা কর্মীদের উচিত দলের  সকল তথ্য-উপাত্ত, ইতিহাস জেনে আলোচনা স্বাপেক্ষে আগামীর জন্য একসাথে থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা। ছোট ছোট ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে দেশ-জাতি, দল এমনকি নিজের জন্য কোন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করা সম্ভব নয় বরং তা হিতে বিপরিত হয়ে পুরো দলের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়।
আবার ও সকলের দোয়া ও সহযোগী কামনা করছি, দলীয় অন্তকোন্দল দূরীকরনে, সাধারণ কর্মীদের সাপ্তাহিক, মাসিক মান উন্নয়ন বিষয়ক এলাকা ভিত্তিক কর্মসভা, কর্মশালার ব্যবস্থা গ্রহনে, যেন একজন কর্মী হয় জ্ঞানী, স্বচ্ছল, কর্মচঞ্চল এবং সচেতন ভাবে নেতার আনুগত্যকারী। যেন দলে ক্ষমতালোভী স্বার্থপর নেতা-কর্মীদের শুধরে দিতে ভূমিকা রাখতে পারে, যেন দলের আগাছা, ও অপ্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবহার, বয়ানবাজী , চাটুকারিতা, দলীয় দূর্নীতি কে বিনাশ করে গনতান্ত্রিক উপায়ে নেতা নির্বাচন করতে পারে, যেন দেশ ও জাতির ভাগ্য উন্নয়নে সময় উপোযোগী ভূমিকা গ্রহন এবং সার্বিকদিক বিচার বিশ্লেষন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
কারন শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমানের ভাষ্যমতে---
" জাতীয়তাবাদী দলের প্রানই হলো দলের প্রশিক্ষিত কর্মীগন" 
আর বর্তমানে স্বার্থপর , ক্ষমতালোভী , বিরোধীদলীয় প্রভাবে দলে ভাঙ্গন সৃষ্টিকারী, অন্তকোন্দল ঘোটনে পোটিয়শি, স্বঘোষিত নেতারা কর্মীদের নামমাত্র অর্থনৈতিক সহযোগিতার দ্বারা করে রেখেছে দলীয় শিক্ষায় মূর্খ আর চাটুকারীতায় উত্তম।
যা উপরে উক্ত উক্তির পরিপন্থি, যা জাতিয়তাবাদী দলের আদর্শের পরিপন্থি এবং এই সর্বগ্রাসী মহামারি ভাইসার নির্মূলে এগিয়ে আসুন , যদি আপনি দেশ প্রেমিক হয়ে থাকেন, যদি দলে প্রতি আপনার ভালবাসা থেকে থাকে । কারন এতদিন উত্তরবঙ্গ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা কর্মীদের , বিশেষ করে নওগাঁ জেলা জাতিয়তাবাদী দলের একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলেন, যার কারনে অনেক ঝড়ঝন্জা আমরা বুঝতেই পারিনি, তিনি বটবৃক্ষের ন্যায় আগলে ছিলেন। তিনি আর নেই আমাদের মাঝে। 
এটা স্বীকার করতে কোন দ্বিমত কারো থাকার কথা না যে, একটা মানুষ , একটা নেতা , বা একজন কর্তার পক্ষে দলের বা পরিবারের সকলেরই মন রক্ষা করে চলতে পারবে। এলাকার উন্নয়নে, দেশের স্বার্থে, এবং কর্তা হিসাবে পরিবারের স্বার্থে এমন সব দ্বায়িত্বশীল মানুষদের অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যার হয়তো কারো কারো মনপুত হয় না।
 কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ছেলে বাবার নামে উল্টা পাল্টা বলে বেড়াবে, রাগ করে বাজে আচরন করে বসবে, বা এই বাবা ভাল নয় আর একজনকে বাবা বলে ডাকা শুরু করবে। 
সন্তানকে বুঝতে হবে যে বাবা  আমার আগে এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং আমার চেয়ে তিনি আমার বিষয়ে ভাল বোঝেন আর তারপর ও যদি আমার আবদার রক্ষা করতে যায় তাতে পরিবারে অন্য সদস্যদের ক্ষতি হতে পারে অথবা আমার ভালোর জন্য বাবা এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হুম হোতেই পারে যে, বাবা তার সিদ্ধান্তে ভুল করেছেন, সেক্ষেত্রে বাবা-সন্তান আলোচনা সাপেক্ষে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে ভূমিকা রাখবে। 
জাতীয়তাবাদী দল 'বিএনপি' ও ঠিক একটি পরিবার , আর আজ ' নওগাঁ জেলা বিএনপি পরিবার' একজন আকতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নুর মত অভিজ্ঞ অভিভাবক হারিয়েছি, আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি, আল্লাহপাক যেন তার প্রতি স্বদয় হোন।  আমিন।
আর তাই এই পরিবারের সকলে একই পরিবারের অর্ন্তভুক্ত হয়ে দলীয় মান উন্নয়নের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক উপায়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে দলের যে কোন পদের জন্য মনোনয়োন প্রত্যাশায়, অর্থের বা চাপাবাজীর ফুলঝুড়ি নয়, সৃজনশীলতার মাধ্যমে , ভাল আচরন ও ব্যবহারের মাধ্যমে, সাধারন নেতা-কর্মীদের সাথে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করার মাধ্যমে এগিয়ে আসলে নিশ্চয়ই তাতে ভালো ছাড়া দোষের কিছু নাই ।
এত বড় লেখা হয়ে যাবে তা বুঝতে পারি নি। এখন শংকা হচ্ছে যে , আমার প্রিয় কর্মী ভাইয়েদের বা নেতাদের এই লেখা পড়ার ধর্য্য হবে তো?
যাই হোক আমি আমার দৃষ্টিকোন থেকে আমার উপলব্ধি থেকে মনের ভিতরে জমে থাকা কথা গুলো বললাম , আর যদি কোন সুহৃদয় ভাই এই লেখা ভাগ্য জোরে পড়ে ফেলেন, তবে কোন ভুলভ্রান্তি পেলে জানাবেন এবং  আপনার  মূলবান মন্তব্য প্রদান করে এই স্বঘোষিত কর্মী ভাইকে একজন আদর্শ কর্মী হতে সহায়তা করবেন। ধন্যবাদ।

----- লেখক - ইমন নুসরাত----
      একজন স্বঘোষিত কর্মী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল 
         নওগাঁ জেলা।
  


(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এর ঈদ শুভেচ্ছা বানী


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
“পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। ঈদ মোবারক।
ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত প্রতি বছর ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে ফিরে আসে। স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবতার কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করা কোরবানীর প্রধান শিক্ষা। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-ক্রোধকে পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হওয়া আমাদের কর্তব্য। কোরবানীর যে মূল শিক্ষা তা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত করে মানব কল্যানে ব্রতী হওয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সšত্তষ্টি ও নৈকট্য লাভ সম্ভব। বিশ্বাসী হিসেবে সে চেষ্টায় নিমগ্ন থাকা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।
দেশে এক ভয়ংকর নৈরাজ্য চলছে। মানুষের জান, সহায়-সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। ঈদের প্রাক্কালে বেশ কয়েকটি গুমের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভয়াল অন্ধকার উৎসবের আনন্দকে ম্লান করে দেয়। দেশের বর্তমান অবস্থায় সকলের পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভারে উপভোগ করা সম্ভব হবে না। এদিকে চাল, ডাল, লবন, পিঁয়াজ, মরিচসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি দরিদ্র ও কম আয়ের মানুষকে চরম দূর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষ আরো বিপন্ন হয়ে পড়বে। পানি, জ্বালানী তেল, গ্যাস, বিদ্যূতের তীব্র সংকট, সড়ক ও মহাসড়কের বেহাল অবস্থা জনজীবনে দূর্বিসহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এবারে একের পর এক হাওড়ে বন্যা, পাহাড়ী ধ্বস ও সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলসহ দেশের ২৭টি জেলায় ভয়াবহ বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেকেই স্বজন হারিয়েছে, ঘরবাড়ী, জোত-জমিসহ সহায় সম্পদ বানের পানিতে ভেসে গেছে। এখনও ভেসে যাওয়া বসতবাড়ীর শুণ্য ভিটায় ঠাঁই করতে পারেনি হাজারো মানুষ।
তাই আমি বিএনপি নেতাকর্মীসহ দেশের সকল বিত্তবান ও সামর্থবান ব্যক্তিদের আহবান জানাই-প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্গত অসহায় মানুষের দিকে সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত প্রসারিত করার জন্য। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে-সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের ঈদের আয়োজনে উপদ্রুত অসহায় মানুষ যেন অংশগ্রহণ করতে পারে সেই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছি। ঈদের আনন্দকে ভাগ করে নিতে হবে এক কাতারে মিলে।
ঈদুল আযহা সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি, সমাজে সৃষ্টি হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের মেলবন্ধন, মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে এই প্রার্থনা জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”

(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

বিএনপি’র ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বানী


“আমি বিএনপি’র ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আজকের দিনটি আমাদের সবার জন্য আনন্দ ও প্রেরণার। ১৯৭৮ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাকশালী একদলীয় দু:শাসনের জের ধরে সেসময়ে দেশে বিরাজমান চরম জাতীয় সংকটের কারণে যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল তা পূরণ করতে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পূণ:প্রবর্তন এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি বিগত ৩৯ বছরে বার বার সকলের অংশগ্রহণমূলক জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে এবং দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যানে কাজ করে গেছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের এই প্রিয় দল অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি ৯ বছরের স্বৈরাচার বিরোধী গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলনেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি রাজপথে আপোসহীন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার লক্ষ্যে বিএনপি ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশসহ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিএনপির বলিষ্ঠ ভূমিকা জনগণ কর্তৃক সমাদৃত হয়েছে। এই কারনেই বিএনপি দেশবাসীর কাছে এখন সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুন্ন রেখে দেশ ও জনগণের সেবায় বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে ইন্শাআল্লাহ। বিএনপি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। বাংলাদেশের নিজস্ব স্বকীয়তা, স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপি তার ভূমিকা পালন করে চলেছে।
আজ দেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। ৫ জানুয়ারীর তামাশার নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। দেশবিরোধী নানা চুক্তি ও কর্মকা-ের মাধ্যমে বর্তমান সরকার জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। দেশব্যাপী পথে-ঘাটে শুধু লাশের মিছিল। বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি নিয়ে হাহাকার চারদিকে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
দেশজুড়ে গণহত্যা. গুম, গুপ্তহত্যা, নারী ও শিশদের ওপর পৈশাচিকতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহোৎসব চলছে। ঈদুল আযহার প্রাক্কালে একের পর এক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের গুম হওয়ায় চারিদিকে ভয় ও আতঙ্ক পরিব্যাপ্ত হয়েছে। দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান। জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পূণ:প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এবারে আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্য হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জনগণের মানবিক মর্যাদা সুরক্ষা করা।
আল্লাহ হাফেজ
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ”

ডাওনলোড করুন এ্যাপস ‘ভিশন-২০৩০’ কর্মপরিকল্পনা


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী ‘ভিশন-২০৩০’ শিরোনামে একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনার খসড়া প্রণয়ন করে দেশ ও জাতির বর্তমান অবর্ননীয় অবস্থা এবং এ থেকে উত্তোরনের জন্য গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার উপর বিষদ আলোচনে করে বক্তব্য প্রদান করেন। তার বক্তব্যে ‘ভিশন-২০৩০’ শিরোনামে একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনায় আলোচিত বিষয়সমূহে তিনটি ‘গুড’ বা ‘সু’ অর্থাৎ থ্রি.জি-এর সমন্বয় গঠিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়। এই থ্রি.জি হলো: গুড পলিসি, গুড গভরনেন্স এবং গুড গভর্নমেন্ট। অর্থাৎ সুনীতি, সুশাসন এবং সু-সরকার।
সকলের সুবিধার্থে বদলগাছী- মহাদেবপুর বিএনপির দূর্দিনের কান্ডারী তরুন জন নেতা ফজলে হুদা ভাইয়ের অত্যাধুনিক রাজনৈতিক চিন্তার ফসল ও পরামর্শে  ভিশন ২০৩০ এ্যাপস করা হয়েছে, বিস্তারিত জানুন, অন্যকে জানান। ডাওনলোড লিংক। 

দেশ ও জাতির ভাগ্য উন্নয়নে ' ভিশন ২০৩০ ' কি ও কেন? জানতে হবে।




আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসাবে বিশ্বের দরবার মাথা উচু করে দাড়াতে প্রয়োজন একটি প্রশিক্ষন প্রাপ্ত শিক্ষিত কর্মমুখী জাতি গঠন। আর এই জাতি গঠনে প্রয়োজন সময় উপযোগী তথ্য ভিত্তিক রাজনীতির। যেখানে সবার আগে দলের তৃনমুল নেতা কর্মীদের প্রশিক্ষিত করতে হবে, যেন নেতা কর্মীর তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে তথ্য ভিত্তিক রাজনীতে উল্ল্যেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে পারে।
তথ্য ভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে আরো বিরাট ও সাফল্য মন্ডিত করতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
  ' ভিশন ২০৩০ ' প্রনয়ন করেছে।
কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে 'ভিষন ২০৩০' এ আসলে কি আছে তা আমরা অনেকেই জানি না। আর তাই বদলগাছী - মহাদেবপুরের প্রান পূরুষ ,সকলের প্রিয় ও আস্থাভাজন, সুযোগ্য তরুন নেতা ফজলে হুদা বাবুল ভাই এর একান্ত প্রচেষ্টা আর পরামর্শে  ভিষন ২০৩০ এর সম্পূর্ন ২২ পৃষ্ঠার পিডিএফ ফাইলটি নওগাঁ জেলার সকল উপজেলায় পৌছে দেয়ার পরিকল্পনায় তার এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলো।  ডাওনলোড করুন ভিষন ২০৩০  ।